মামলায় মোট ৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৯ জন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালতের সিদ্ধান্তে সকল আসামির বিরুদ্ধে আনীত হত্যাকাণ্ড, হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন যে, প্রমাণের অভাবে তারা এই মামলায় খালাস পেয়েছেন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও সেদিন ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। এই হামলার দায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দেওয়া হয়েছিল, এবং তদন্তে বিএনপি নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তবে মামলার দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে কোনো যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস দিয়েছে।
এ রায়ের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে, আওয়ামী লীগ নেতারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আবার বিএনপির পক্ষ থেকে এটি একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলার রায়ের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, এবং আসামিদের খালাসের বিষয়ে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ সৃষ্টি হতে পারে।
Post a Comment