"কয়েন সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা"

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের তফসিলি ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের নির্দিষ্টসংখ্যক ধাতব মুদ্রা বা কয়েন সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ডিসিএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু তফসিলি ব্যাংকের শাখা ভল্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণ করলেও তা জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী লেনদেন করা হচ্ছিল না। এর ফলে, ধাতব মুদ্রার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ সেগুলি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন না।এ পরিস্থিতি মোকাবিলায়, জনসাধারণের স্বাভাবিক লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য দেশে কর্মরত প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের যথেষ্ট পরিমাণ ধাতব মুদ্রা বা কয়েন সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ ধাতব মুদ্রা লেনদেনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বেঁধে দেওয়া পরিমাণ মেনে চলতে হবে।তফসিলি ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় ও ফিডিং শাখায় ১ টাকার কয়েন ২৪,০০০ পিস, ৫ টাকার কয়েন ২৪,০০০ পিস এবং ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ১৫,০০০ পিস থাকতে হবে। অন্যান্য শাখায় ১ টাকার কয়েন ৮,০০০ পিস, ২ টাকার কয়েন ৮,০০০ পিস এবং ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ৫,০০০ পিস রাখা আবশ্যক। উপ-শাখাগুলোর জন্য ১ টাকার কয়েন ২,০০০ পিস, ২ টাকার কয়েন ২,০০০ পিস এবং ৫ টাকার কয়েন ন্যূনতম ১,০০০ পিস রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ধাতব মুদ্রার পরিমাণ লেনদেনের কারণে হ্রাস পেতে পারে, তবে যদি মুদ্রার পরিমাণ ন্যূনতম স্তরের নিচে চলে আসে, তাহলে ব্যাংকগুলো তা স্থানীয় ফিডিং শাখা অথবা প্রয়োজন হলে কাছের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।এই নির্দেশনা সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।