এলপিজির দাম ১ টাকা কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি গ্যাসের দাম ১২ কেজির সিলিন্ডারে ১ টাকা কমানো হয়েছে। গত মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারে দাম বেড়েছিল ৩৫ টাকা। 

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা, যা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। এর আগে অক্টোবর মাসে এই দাম ছিল ১ হাজার ৪৫৬ টাকা। এলপিজির এই ১২ কেজির সিলিন্ডারটি মূলত গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয়।আজ বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এলপিজি দাম ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। তিনি জানান, বিইআরসি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে, তবে এই ঘোষণার আগেই বাজারে এলপিজির দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "অভিযোগ অস্বীকার করি না, আগেও অভিযোগ ছিল যে খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এটি প্রতিরোধ করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে বাজার নজরদারি করতে চিঠি দেওয়া হবে।"

নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাটসহ) সহ প্রতি কেজি দাম ১২১ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মাসে ছিল ১২১ টাকা ৩২ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে, গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা, যা পূর্বে ছিল ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা।

এলপিজির দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে, যখন প্রথমবারের মতো বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে শুরু করে। এলপিজি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রধান উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়, যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল।প্রতি মাসে এলপিজির দুটি প্রধান উপাদান, প্রোপেন ও বিউটেনের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এই মূল্যকে সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। বিইআরসি এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে। এলপিজি আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় হিসাব করে এবং সে মাসের জন্য ডলারের দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এর ভিত্তিতেই দেশের বাজারে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়।