আপনার উল্লিখিত তথ্য সঠিক নয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের মধ্যে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, এবং ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এমন খবরও মিথ্যা। যদিও ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচন জয়ী হয়ে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন, ২০২০ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হতে পারেননি, এবং জো বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন।
এছাড়া, মার্কিন ইতিহাসে শুধুমাত্র ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টই দুইটি পূর্ণ মেয়াদে (১৯৩৩-১৯৪৫) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনি যদি ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চান, তা এখনও আসেনি বা ঘোষণা হয়নি।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যালোচনা, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের মতো ব্যক্তিরা দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে পেরেছেন, যদিও প্রথমবার পরাজিত হয়েছিলেন। গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি পরাজিত হওয়ার পর আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এটি তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অনন্য ঘটনা, এবং এটি প্রমাণ করে যে রাজনীতিতে পরাজয় সবসময় চূড়ান্ত নয়।
অনেক প্রেসিডেন্টই পরাজয়ের পর আবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সফল হতে পারেননি, কিন্তু ট্রাম্প এবং ক্লিভল্যান্ড দুজনেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। এ ধরনের পুনরায় জয়লাভের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল এবং দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়।ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, আর এই জয় তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি বিরল কৃতিত্বের অধিকারী করে তুলেছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে সেই রেকর্ড গড়লেন, যিনি প্রথম মেয়াদে পরাজিত হওয়ার পর আবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে একমাত্র গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
১৮৮৮ সালে ক্লিভল্যান্ড, বেনজামিন হ্যারিসনের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলেও, পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে জিতে হোয়াইট হাউজ পুনরুদ্ধার করেছিলেন। ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় মেয়াদে জয় লাভের মাধ্যমে ইতিহাসে ক্লিভল্যান্ডের সঙ্গে তার নামও সংযুক্ত হলো। এদিকে, এমন সাফল্য না পেলেও আমেরিকার ইতিহাসে আরও কিছু প্রেসিডেন্ট ছিলেন যারা পরাজিত হওয়ার পর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তবে তাদের ভাগ্য সহায় হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, ইউলিসেস এস. গ্রান্ট এবং টেডি রুজভেল্ট চেষ্টা করলেও সফল হননি। এটি মার্কিন রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় অধ্যায়, যেখানে পরাজয় পরবর্তী পুনর্জাগরণের মাধ্যমে ট্রাম্প ও ক্লিভল্যান্ড এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ, অ্যান্ড্রু জনসন মার্কিন ইতিহাসে একটি অদ্ভুত এবং গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি ১৮৬৫ সালে আব্রাহাম লিংকনের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ১৮৬৮ সালে, তিনি প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইমপিচমেন্টের শিকার হন, যদিও তিনি সিনেট থেকে সরাসরি উচ্ছেদ হতে পারেননি। এরপর, ১৮৭৫ সালে তিনি আবারও টেনেসি রাজ্য থেকে মার্কিন সিনেটে নির্বাচিত হন। তার এই রাজনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে যে, আমেরিকার রাজনৈতিক কাঠামোতে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে, এমনকি ইমপিচমেন্টের পরও।
Post a Comment