শরীয়তপুরে বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে শহরের জেলখানা গেট এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং হাতাহাতির সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়, যা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, শহরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
রোববার যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু চোকদার এবং পৌর বিএনপির সদস্য সুমন খানের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর পর মঙ্গলবার রাতে পাকার মাথা সড়কে জেলা কারাগারের সামনে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সুমন খানের সমর্থকেরা ককটেল বিস্ফোরণ ও যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে টিটু চোকদার বলেন, "রোববার যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বড় মিছিল করেছি, যা কিছু মানুষের সহ্য হয়নি। এ কারণে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। সুমন ও তাঁর লোকজন আমার অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই।"
অন্যদিকে, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সুমন খান অভিযোগ করেন, "বিগত সময়ে টিটু চোকদার স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে। তিনি আমার সামনে বসে সাবেক এমপিকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন এবং আমাকে মারধর করেছেন। তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্লাব ভাঙচুর করেছে এবং এখন আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।"
Post a Comment