এই দুই সংগঠন ছাত্রনেতৃত্ব ও নাগরিক কমিটি নিজেদের দাবিতে দৃঢ় থাকার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক আলোচনা বাড়ানোর জন্য দুটি টিম গঠন করা হয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গুলশানের একটি বাসায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রনেতারা।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়। ছাত্রনেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতির বক্তব্য তাকে পদে থাকার অযোগ্য করে তোলে। বিএনপির নেতারা জানিয়েছে, তাদের সংগঠনের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে কিছু সংশয় রয়েছে, যদিও তাদের সাহাবুদ্দিনের প্রতি সহানুভূতি নেই।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও একই দাবির প্রতি নীতিগত সমর্থন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আরও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবে, যাতে তাদের পাঁচ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রপতির অপসারণের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ঐকমত্য গঠন করা যায়।
ছাত্রনেতারা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তাদের দাবির সমর্থনে ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব। তাঁরা আরও বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা চলবে এবং ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
Post a Comment