বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে, যা দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।
ফারুক বলেন, "আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে এবং এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।" তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে।
বক্তব্যের অংশ হিসেবে, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। ফারুক বলেন, "এ ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো আমাদের রাজনৈতিক আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টার অংশ।"
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বলেন, "বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাই আইন অনুযায়ী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত এবং শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।" ফারুক উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তিনি দিল্লির একটি পার্কে বিশেষ নিরাপত্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
এছাড়া, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। ফারুক বলেন, "আলু, পেঁয়াজ ও চিনি সিন্ডিকেটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই সিন্ডিকেটগুলো আবারও নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।" তিনি সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান, বলছেন, "আমরা যত বেশি অপেক্ষা করব, তত বেশি তারা নিজেদের কার্যক্রম জোরদার করবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের থাবা ভাঙতে হবে।"
ফারুকের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন প্রক্রিয়া, এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক নতুন উদ্বেগের সঞ্চার করছেন, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
Post a Comment