}; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানি ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানি ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

Gen Alpha News - Current News - Emergency News - Political news - authentic News - news 24/7 - footbal news - crecket - chenema news - viral news - trendy news

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের করা তিনটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই শুনানির তারিখ ঘোষণা করে। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে এ রায় প্রদান করা হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। অন্যান্য চার ব্যক্তি হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পৃথক দুটি রিভিউ আবেদন ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়, এবং সেদিনই আদালত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শুনানির জন্য নির্ধারণ করে।

 এছাড়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন। ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যান্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুল জারি করে, এবং বিশেষ বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট চূড়ান্ত রায় প্রদান করে। এ রায় ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে এবং সরাসরি আপিলের অনুমতি দেয়। ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করে, যা ২০১১ সালের ১০ মে মঞ্জুর হয়। এরপর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়, এবং ২০১১ সালের ৩ জুলাই সংশ্লিষ্ট গেজেট প্রকাশ করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post