রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার আইনে মামলায়, পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাজন কুমার দাস সহ ৫ কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডে।

বিদ্যুৎ খাতের অস্থিতিশীলতার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। ঢাকার খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মামলায় সমিতির ছয় কর্মকর্তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার, ছয় কর্মকর্তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন: মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার উপমহাব্যবস্থাপক দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেন এবং সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর বেলাল হোসেন।

গত কয়েক মাস ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে দুটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে। এর প্রতিবাদে কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন, ফলে গ্রামীণ জনগণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকেন। রাতে আন্দোলনকারীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করেন এবং রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। 

আরইবির অধীনে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ৫৫ শতাংশ আরইবির মাধ্যমে চলে। মুক্তিকামী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে এই আন্দোলন করছে।